সড়ক দখল করে মোটর শোভাযাত্রা, জনদুর্ভোগ
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল ও যানবাহন নিয়ে গতকাল বুধবার শহরের প্রধান সড়কে নির্বাচনী শোভাযাত্রা করেছেন কক্সবাজার-৪ (সদর-রামু) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল।
প্রধান সড়কের পাশে দীর্ঘ সময় গাড়িবহর রেখে জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এ সময় লোকজনকে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, এই আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাককে। ২ ডিসেম্বর তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলও করেন। এলাকায় নৌকার প্রতীকসংবলিত নিজের পোস্টারও লাগিয়েছেন। একই দিন দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এই আসনের সাবেক সাংসদ মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর তিন ছেলেমেয়ে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল এবং সাইমুম সরওয়ার কমল ও বোন নাজনীন সরওয়ার কাবেরী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুরে এলাকায় ছড়ানো হয়, কমলকেই দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরপর দুপুর আড়াইটা থেকে শত শত সমর্থক মোটরসাইকেল ও যানবাহনে করে বিমানবন্দরে হাজির হন। সেখানে কমলকে নিয়ে তাঁরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এতে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সমর্থকদের অনেকে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। রিজেন্ট এয়ারে করে বেলা সাড়ে তিনটায় সাইমুম সরওয়ার বিমানবন্দরে নামলে আবার স্লোগান শুরু হয়। এ সময় তাঁকে নিয়ে সমর্থকেরা নির্বাচনী শোভাযাত্রা শুরু করেন। বিমানবন্দর থেকে গাড়িবহর শহরের প্রধান সড়কে এসে থেমে যায়। সাইমুম সরওয়ার গাড়ি থেকে নেমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি সেখানে ছিলেন।
অন্যদিকে সড়কের ওপর গাড়িবহর দাঁড় করিয়ে সমর্থকেরা মাইকে নির্বাচনী স্লোগান দেন। এতে প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে এসে সাইমুম সরওয়ার একটি জিপে ওঠেন। তারপর গাড়ি বহর নিয়ে প্রধান সড়ক হয়ে ২৫ কিলোমিটার দূরে নিজগ্রাম রামুতে ফিরে যান।
লালদীঘি পাড়ের ব্যবসায়ী নবাব মিয়া বলেন, ‘হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক সাইমুম সরওয়ারের কাণ্ডজ্ঞান দেখে আমি অবাক হচ্ছি। যানজটের কারণে অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছি না। এসব দেখার কেউ নেই।’
সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘দলের মনোনয়ন এখন আমিই পেয়েছি। শেখ হাসিনার সই করা মনোনয়নপত্রটি জেলা রিটানিং কর্মকর্তার হাতে পৌঁছে দিতে গিয়ে সড়কে যানবাহনের জট লাগে। এতে মানুষের কোনো সমস্যা হয়নি।’
গাড়ি বহরে রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হকও ছিলেন।