গ্রামের বাড়ির মাচায় লাউ ঝুলছে—এটি অতি পরিচিত দৃশ্য। এই লাউয়ের জন্ম কিন্তু আফ্রিকায়। শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে লাউ অন্যতম। এর খোল দিয়ে যেমন বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয়, তেমনি লাউ নিয়ে বাঁধা গানও লোকমুখে ফেরে এখনো। লাউয়ের এদিকের কথা তো জানলেন। পুষ্টিগুণের কথাও জেনে নিন আজ। লাউয়ের মধ্যে এমন কী আছে, যেটি শরীরের জন্য উপকারী? জানতে চেয়েছিলাম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের কাছে। তিনি বলেন, এতে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি-সহ আছে ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া ১০০ গ্রাম লাউয়ে জলীয় অংশের পরিমাণ ৯৬ দশমিক ১০ গ্রাম, আঁশ শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম, আমিষ শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, শর্করা ২ দশমিক ৫ গ্রাম এবং খাদ্যশক্তি ১২ কিলোক্যালরি। দেখলেন তো, যত লাউই খান, আপনার মুটিয়ে যাওয়ার কিন্তু আশঙ্কা নেই। তবে যাঁদের অল্পতেই ঠান্ডা লাগে, তাঁদের লাউ না খাওয়াই ভালো। এ তো গেল তাত্ত্বিক কথা; নিয়মিত লাউ খেলে শরীরে যে উপকার হয় আর যেসব রোগ এড়ানো যায়, তাও জেনে নেওয়া যাক।
: শীতে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় দ্রুত। ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ। নিয়মিত লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে।
: লাউয়ে প্রচুর পানি থাকায় দেহের পানির পরিমাণে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
: ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা রোধেও এটি কার্যকর। কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে লাউ। এ ছাড়া প্রস্রাবের সংক্রমণ রোধেও এটি অনন্য।
: উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে ভুগছেন যেসব রোগী, লাউ তাঁদের জন্য আদর্শ সবজি।
: শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সবজিটি সহায়ক।
: রাতে যাঁদের ভালো ঘুম হয় না, তাঁদের জন্য লাউ বেশকাজের।