সোনার দোকান লুট
নাটোর শহরের প্রাণকেন্দ্র কাফুরিয়াপট্টির যমুনা জুয়েলার্সে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতের দল অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন দোকানের দুই কর্মচারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে একটি মাইক্রোবাসযোগে সাতজনের একটি ডাকাত দল কাফুরিয়াপট্টিতে আসে। তারা গাড়ি থেকে নেমে ছয়জন যমুনা জুয়েলার্সের ফটক ঘিরে রাখে। বাকি একজন পিস্তল উঁচিয়ে দোকানের ভেতরে ঢুকে মালিক প্রহ্লাদচন্দ্র রায়কে সবকিছু একটি বস্তায় ভরে দিতে বলে। এতে দোকানমালিক রাজি না হওয়ায় কয়েকজন ডাকাত সদস্য ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। তারা শোকেস ভেঙে স্বর্ণালংকার বস্তায় ভরে মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়। এ সময় দোকানের দুই কর্মচারী তরুণ (৩৪) ও বাসুদেব (৪২) বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা একটি গুলি করে ও ককটেলও ফাটায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শহরের নীচাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক অফিসের মাত্র ৫০০ গজের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে এ ঘটনা ঘটায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
নাটোরের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিভলবারের একটি গুলি উদ্ধার করেছে।
আহত দোকান কর্মচারী বাসুদেব বলেন, ঘটনার সময় নারী-পুরুষ মিলে প্রায় সাত-আটজন ক্রেতা ছিলেন। ডাকাতেরা দোকানে ঢুকেই বলে, ‘যা আছে সব দিয়ে দে।’ তারা চিৎকার করতে নিষেধ করে।
দোকানের মালিক প্রহ্লাদচন্দ্র রায় বলেন, ‘কী পরিমাণ মালামাল ডাকাতেরা নিয়ে গেছে, তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আমরা হিসাব করে বলব।’
নাটোরের (সদর সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, পূর্বপরিকল্পনা করে দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে দোকানে ঢোকে। তাদের ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।