সিস্টেম লস কমার দাবি ওয়াসার
ঢাকা ওয়াসার সিস্টেম লস চার বছর আগের ৪০ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর পরিচালন ব্যয়ও ২৪ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, ওয়াসার বর্তমান প্রশাসন ২০১০ সালে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা কর্মসূচি’ হাতে নেয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ২০০৯ সালে রাজস্ব আয় ছিল ৪৪০ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ৮৫০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ১৯৬৩ সালে যখন ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা) গঠিত হয়, তখন ঢাকার জনসংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে আট লাখ। সে সময় ঢাকার পানির চাহিদা ছিল ১৫ কোটি লিটার। ৫০ বছর পর ২০১৩ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকা ওয়াসা এগিয়ে চলেছে। যদিও ঢাকার মতো একটি মেগাসিটিতে পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন ও ড্রেনেজ সেবা প্রদান একটি চ্যালেঞ্জ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা মহানগরে নিম্নআয়ের মানুষের পানি সরবরাহ সেবা দেওয়ার জন্য করাইল বস্তিসহ মোট ৩১৫টি বস্তিতে এক হাজার ২২১টি পানির সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, পরিবেশবান্ধব পানি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে উন্নয়নমূলক প্রকল্প হিসেবে ওয়াসা গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার দ্বিতীয় পর্ব (ফেজ-২) চালু করে। এতে ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহে নতুন সাড়ে ২২ কোটি লিটার পানি যোগ হয়। বর্তমানে মোট উৎপাদিত পানির (২২৫ কোটি লিটার) ২২ শতাংশ ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান (প্রশাসন), সৈয়দ গোলাম আহাম্মদ (অর্থ), এস ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এবং প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।