সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে দুই বছর পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক রাখার সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগ ওঠা ওই গবেষণা নিবন্ধের পর্যালোচনা, চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কমিটির প্রতিবেদন ও চৌর্যবৃত্তির শাস্তি নির্ধারণে গঠিত ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন।
গবেষণা নিবন্ধে ‘চৌর্যবৃত্তির’ শাস্তি হিসেবে গত ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ওই সিদ্ধান্ত নেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান গত ৩১ আগস্ট রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নেওয়া ওই সিদ্ধান্তের দিন থেকে সামিয়া রহমানকে আর্থিক সুবিধাসহ চাকরির সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ জার্নালের সম্পাদনা পর্ষদের সম্পাদকসহ ১২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
আরও পড়ুন