কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সবুজকে ফিরে পেতে তাঁর স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুতি জানিয়েছেন।
>কুষ্টিয়ায় সংবাদ সম্মেলন: জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান ওরফে লাবু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন গত ২১ আগস্ট নিখোঁজ হন
গতকাল রোববার দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ আকুতি জানানো হয়। এ সময় সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ছাড়াও তাঁর ছেলে, মেয়ে ও মা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে জান্নাতুল ফেরদৌস লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে র্যা বের হাতে আটক আমার স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। দুই মাস আমরা নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে আমার দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে স্বামীকে খুঁজে ফিরছি। কেউ তাঁর সন্ধান দিচ্ছে না।’
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমার স্বামী যদি সত্যিকার অর্থেই কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থেকে থাকেন, তা হলে তাঁকে প্রচলিত আইনের আওতায় বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দোহাই বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে কোনো সাজা পেতে দেবেন না।’
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান ওরফে লাবু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন গত ২১ আগস্ট নিখোঁজ হন। ২০ আগস্ট রাতে মুঠোফোনে শেষ কথা হয়। পরদিন সকালে জানতে পারেন, গাজীপুরের মাওনা এলাকার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট থেকে র্যা বের সদস্যরা ওই রিসোর্টের প্রধান ফটকের গ্রিল কেটে রিসোর্টের মালিক মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরকে আটক করেন। রিসোর্ট থেকে আখতারুজ্জামান ও সাজ্জাদ হোসেনকেও আটক করা হয়। পরের দিন মনিরুজ্জামানকে ছেড়ে দেয় র্যা ব। তবে সাজ্জাদ ও আখতারুজ্জামানকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে র্যা ব। এ ব্যাপারে ওই দিনই কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ২৬ আগস্ট আখতারুজ্জামানকে ছেড়ে দেয় র্যা ব।
১৫ আগস্ট সকালে জাতীয় শোক দিবসের শোভাযাত্রা শেষে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হন। ওই মামলায় সাজ্জাদ হোসেন প্রধান আসামি।