সাকার ফাঁসির আদেশে চট্টগ্রামে প্রতিক্রিয়া
যুদ্ধাপরাধের মামলায় বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির আদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও বন্দরনগরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বিএনপির নেতারা এ রায়কে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করলেও অন্যরা অবিলম্বে রায় কার্যকরের দাবি জানান সরকারের কাছে। এ রায়ের ফলে চট্টগ্রাম ৪২ বছর পর কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এ রায় প্রহসনমূলক। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে চট্টগ্রাম বিএনপি আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পিপি এনামুলক হক বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।’
প্রতিক্রিয়া জানতে সাকা চৌধুরীর ছোট ভাই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
সাকার ফাঁসির আদেশ চট্টগ্রামবাসীর জন্য গৌরব উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগর ও রাউজানে একাত্তর সালে সাকা চৌধুরী যে গণহত্যা চালিয়েছিল, আজ এত বছর পর সেই হত্যার বিচার মৃত্যুদণ্ড পেয়ে খুশি চট্টলাবাসী। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। রায়ে কলঙ্কমুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামবাসী।’
প্রজন্ম একাত্তর চট্টগ্রামের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আইনজীবী আইয়ুব খান বলেন, ‘অবিলম্বে এ রায় কার্যকর করে চট্টগ্রামবাসীকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক।’ চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও মানবাধিকার নেতা আইনজীবী আবুল হাশেম বলেন, ‘এ রায় ঐতিহাসিক। রায়ে একাত্তরে নির্যাতিতরা ন্যায়বিচার পেয়েছে।’
একাত্তরে সাকার নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালখালীর শাকপুরার ষাটোর্ধ্ব স্বদেশ বিশ্বাস বলেন, ‘ফাঁসিই সাকার প্রাপ্য। এ রায় অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। দলবদলের রাজনীতি করে মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে এত দিন সাকা।’