সশস্ত্র বাহিনী সব সময় জনগণের সঙ্গে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে কেবল যুদ্ধের জন্য নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যেকোনো আগ্রাসন থেকে দেশের ভূখণ্ড রক্ষায় শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, একটি দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সব সময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে তাঁদের সঙ্গে থাকবে।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) কমান্ড্যান্ট, সেখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং নতুন গ্র্যাজুয়েটরা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্কালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বছরব্যাপী এই এনডিসি কোর্সে দেশ ও বিদেশের মোট ৬৪ জন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা অংশ নেন। এর মধ্যে মিসর, নাইজেরিয়া, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, জর্ডান ও তাঞ্জানিয়ার ২৬ জন সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন।
সফলভাবে কোর্স শেষ করায় এনডিসি গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে এ দেশে সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ ও জুনিয়র কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। তাঁর বিগত মেয়াদে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় এবং বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যা দেশের জন্য গৌরবের বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু কেন্দ্রিক বিশ্ব পরিসরে প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। প্রায় ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে এবং তিন কোটি ২৬ লাখ মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীতে প্রযুক্তি ব্যবহারে সাফল্যজনকভাবে সক্রিয় উত্সাহ জুগিয়েছে।
এ দেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, শোষণমুক্ত সমাজ গঠন, যেখানে প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় এসব নীতি বাস্তবায়নে তাঁর সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।