সরস্বতী পূজা উদযাপিত
উৎসাহ-উদ্দীপনা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার হিন্দুসম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ঘরে ঘরে এই পূজা উদযাপিত হয়।
মহল্লায় মহল্লায় পূজামণ্ডপে ভক্তরা মায়ের পাদপদ্মে অঞ্জলি দেন। দেবীর সামনে ‘হাতে খড়ি’ দিয়ে ছোট শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হয়। বিকেলে কিছু মণ্ডপে আলোচনা সভা, সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে আয়োজন করা হয় আরতির। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
গত সোমবার মধ্যরাতে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে বিদ্যা ও জ্ঞানদাত্রী দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। শুক্রবার মধ্যরাতে প্রতিমা স্থাপনের মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকতা চলে গতকাল রাত পর্যন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রদের উদ্যোগে অন্তত ৫০টি মণ্ডপে বিদ্যাদেবীর পূজা হয়েছে। দিনে-রাতে, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জায় শোভিত এসব মণ্ডপ দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫টি মণ্ডপে পূজা হয়। শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার নানা বয়সের মানুষ এসব মণ্ডপে ভিড় জমান দিনভর। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির উদ্যোগে ‘বাণী অর্চনা-২০১৪’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শাঁখারী বাজার, তাঁতীবাজার, খিলগাঁও তিলপাপাড়া দেবমন্দিরে শ্রীশ্রী কৃপাসংঘসহ বিভিন্ন স্থানে বিপুল উদ্দীপনায় পূজার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি তাদের মিলনায়তনে বাণী অর্চনার আয়োজন করে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মূল মন্দিরে পূজা শুরু হয় সকাল সাড়ে আটটায়। অঞ্জলি হয় সাড়ে ১১টায়। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মন্দির স্থাপন করে। অভয় দাস লেনের ভোলানন্দগিরি আশ্রম প্রাঙ্গণে সকাল থেকে দিনভর ভক্তদের ভিড় ছিল।