সরকার উগ্র পন্থাকে উত্সাহিত করছে: বিএনপি
সরকার অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এবং উগ্র পন্থাকে উত্সাহিত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র ব্যাহত হলে সরকারকেই দায় নিতে হবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন এই অভিযোগ করেন। অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘বন্দুকবাজ ফ্যাসিবাদী সরকারের’ পতন ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি।
অজ্ঞাত স্থানে থাকা বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দলের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সব দরজা বন্ধ করে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের অপরাধে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন বন্ধ করে সরকার অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এবং উগ্র পন্থাকে উত্সাহিত করছে। যার ফলে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্র বিলুপ্তির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। গণতন্ত্র ব্যাহত হলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকেই দায় নিতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানার ঘোষণা না দিলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দেশে নির্বাচনের পরিবেশ বিদ্যমান। অথচ তাঁর তথাকথিত ‘অবৈধ’ নির্বাচনী সরকারের বড় অংশীদার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলছেন, নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এরশাদ ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করার ক্ষমতাও এই সরকারের আর অবশিষ্ট রইল না।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচিতে সারাদেশে জোটের দুজন নিহত, ৭০০ জনের বেশি নেতা-কর্মী আহত এবং ৫০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন সালাহ উদ্দিন।