সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে ছাত্রলীগ

‘ডাকসুর সাবেক নেতৃবৃন্দ’ এই ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সময়ে ডাকসুর দায়িত্বে থাকা নেতারা
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সাবেক নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করেছে। ছাত্রদলের ওপর হামলায় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের নাম, ছবি প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার ‘শিক্ষা বাঁচাও, শিক্ষাঙ্গন বাঁচাও’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ‘ডাকসুর সাবেক নেতৃবৃন্দ’ এই ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সময়ে ডাকসুর দায়িত্বে থাকা নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ও ২৬ মে ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হামলার শিকার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশেই ছাত্রলীগ এই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সরকারি দলের সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন চর দখলের মতো দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে রেখেছে। ভিন্নমত পোষণ বা দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় নির্মম শারীরিক নির্যাতন, হল থেকে বের করে দেওয়া এমনকি পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দলদাস প্রশাসন বরাবরই নির্লিপ্ত থেকেছে।

ডাকসুর সাবেক নেতারা বলেন, দেশের সব শিক্ষাঙ্গন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনকে বাঁচানো শুধু ছাত্রসংগঠন বা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, পেশাজীবীসহ দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আবদুর রব, আমানউল্লাহ আমান, নুরুল হক, সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন এবং সাবেক এজিএস নাজিমউদ্দিন আলম উপস্থিত ছিলেন।