সব শিক্ষার্থীকে স্কুলে ফেরাতে হবে, কিন্তু কীভাবে

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের বিশেষ কর্মসূচি আর অর্থ বরাদ্দ আছে। কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে সেই কর্মসূচিকে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে।

করোনাকালে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে
ফাইল ছবি

পত্রপত্রিকা, টক শো, ওয়েবিনারে আলোচনায় স্কুলে মেয়েদের না-ফেরা নিয়ে বাতচিত যতটা হচ্ছে, ছেলেদের না-ফেরা নিয়ে কি ততটা উৎকণ্ঠা বা হেলদোল আছে? মেয়েদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফেরাটাও জরুরি। ফেরত না আসা ছেলেদের সংখ্যা একেবারে কম নয়। এদের অনেকে কাগজে থাকলেও বাস্তবে নেই।

ঢাকায় হস্তান্তরের অপেক্ষায় থাকা বাড়িগুলোর ‘প্রায় পরিত্যক্ত’ গ্যারেজে ছোট পুঁজির মুদিদোকান ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মহল্লায় ১০ বছরে ধরে চারবার জায়গা বদল করে টিকে আছেন যে স্বল্প মূলধনের এক দোকানি, তাঁর ছেলে গ্রামের স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে মাত্র উঠেছিল ২০২০ সালে। ক্লাস তেমন একটা হয়নি। সবে বই হাতে পেয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে লেখাপড়া লাটে উঠলে বাবা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। দোকানের বেতনভুক্ত শিশু কর্মীটির চাকরি চলে যায়। দোকানকর্মী শিশুটি কাছের বস্তিতে এনজিওর যে স্কুলে দুই ঘণ্টা পড়ত, সেটিও বন্ধ হয়ে যায় করোনার ভয়ে বা টাকার অভাবে। করোনা সংক্রমণ কমলেও শিশুটি আর ফিরে আসেনি। ‘কোথায় কেমন আছে’, কেউ জানে না। দোকানের কাজে আটকে গেছে অষ্টম শ্রেণির সেই ছাত্র; তারও গ্রামের সেই স্কুলে ফেরা হয়নি। জেএসসি দিতে হয়নি। সে এখন কাগজে-কলমে নবম শ্রেণির শেষের দিকের ছাত্র। স্কুলের খাতায় তার নাম আছে। নিয়মিত ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ জমা দিয়ে মাসে একবার বাড়ি গিয়ে টিকিয়ে রেখেছে তার ছাত্রত্ব। হয়তো ছেলেটি এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তারপর? ছেলেটির কাছে কোনো উত্তর নেই। এ রকম কাগুজে ছাত্রদের কথা বাদ দিলাম। একেবারেই হদিস নেই, এমন ছাত্রের সংখ্যা কারও কাছে আছে কি?

গত বছর নভেম্বরে দক্ষিণের অভাবী উপজেলাগুলোতে গিয়ে দেখেছিলাম স্কুলছাত্রদের ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সারি সারি বাসের অপেক্ষা। শ্যামনগর, আশাশুনি, দেবহাটা থেকে বাসবোঝাই স্কুলছাত্র চলে যায় কুমিল্লায়, চট্টগ্রামে। তারা কি ফিরেছে স্কুলে? ভাটার মৌসুমে কি বাস বোঝাই হচ্ছে শিশু-কিশোরে? নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুন না লাগলে আমাদের জানা হতো না পেটের খিদেয় শিশুরা কীভাবে কাতারে কাতারে কারখানার গারদে বন্দী হয়েছে করোনাকালে, পরিণত হয়েছে পরিবারের ভাত-রুটি সংস্থানের একমাত্র হাতে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের আন্ধারমানিক গ্রামের আবুলের বড় ইচ্ছা এসএসসি পরীক্ষাটা দেওয়া। সে এখন ঢাকা শহরের ‘ডেলিভারি বয়’। ভালুকের ছবি আঁকা গোলাপি ব্যাগ নিয়ে দিনরাত ছুটে বেড়ায় শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। কখন পড়বে, কখন দেবে পরীক্ষা। নবম শ্রেণিতে উঠেছিল ২০২০ সালে। ব্যস, ওই পর্যন্তই। বাবার কাজ নেই, সাতজনের সংসার। তার জন্যও পড়াশোনায় ফেরার একটা পথ খুঁজে দিতে হবে।

মেয়েরা কেন ফিরছে না?

স্কুল খোলার পর থেকে নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, এমনকি প্রাথমিকেও মেয়েদের ফিরে আসার সংখ্যা বেশ কম। গ্রামগঞ্জ-শহরভেদে এর রকমফের থাকলেও কোথাও যে সবাই ফেরেনি, তা নিয়ে কোনো বাহাস নেই। যদিও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক বলেই চলেছেন, ‘ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার বেশি না, যৎসামান্য। দিনে দিনে ফিরবে সবাই।’

আমরা জানি, ছেলেদের মতো অনেক মেয়েও পড়াশোনা স্থগিত রেখে কাজে ঢুকে গিয়েছে; তা ছাড়া বাল্যবিবাহ তো আছেই। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারের বেঁধে দেওয়া বয়সের আগেই বালিকা-কিশোরীদের বিয়ে হয়ে গেছে।

মেয়ের কেন বিয়ে দিলেন, সাংবাদিকের এমন চেপে ধরা প্রশ্নের জবাবে উত্তরবঙ্গের এক বাবা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘ভালো একনা আলাপ আসছে। তাই মোর মেয়েটার বিয়ে দিছং বাহে।’ আঞ্চলিক বৈষম্যের নিষ্ঠুর শিকার উত্তরের নদীভাঙা, বানে ডোবা, ফসলের দাম না পাওয়া বাবার এমন কথা স্বাভাবিক। তাতে করোনা-অকরোনা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। কিন্তু একই ছবির প্রকাশ কেন পাওয়া যাচ্ছে শিক্ষাদীক্ষায়, আয়রোজগারে এগিয়ে থাকা অঞ্চলে।

উচ্চশিক্ষিতদের জেলাতেও কেন অকালবিবাহ

দেশের যেসব উপজেলায় সাবেক আর বর্তমান সচিবে সয়লাব, যেসব ইউনিয়নে ঘরে ঘরে স্নাতক আর স্নাতকোত্তর ছেলে-মেয়ের ছড়াছড়ি, সেখানে কেন অকালবিবাহের এত হিড়িক। উচ্চশিক্ষিতদের জেলা হিসেবে বৃহত্তর কুমিল্লাকে গণ্য করা হয়। তার মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উপজেলা সেই ব্রিটিশ আমল থেকে লেখাপড়ায় এগিয়ে থাকা জনপদ হিসেবে পরিচিত। মতলব দক্ষিণে মাধ্যমিক স্তরে ক্লাসে ফেরেনি চার হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে উচ্চবিদ্যালয় ২৯টি। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির এবং এসএসসির ফরম পূরণ করা শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্লাস করছে ১৩ হাজার ৬৪৩ জন। ৪ হাজার ২৬৮ শিক্ষার্থী এখনো ক্লাসে ফেরেনি। এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করা ৭১৩ শিক্ষার্থী এখনো কোনো যোগাযোগ করেনি।

উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনাকালে বেশ কিছু ছাত্রীর বিয়ে হওয়ায় তারা ঝরে পড়েছে। করোনাকালে মাধ্যমিক পর্যায়ে কত ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে, জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম খান বলেন, ‘সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই। তবে বাল্যবিবাহের কারণে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, এটা সত্য।’

রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারীতে না হয় ‘ক্ষুধা বেশি, পেটের সমস্যা’; ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মতলব, হাজীগঞ্জ, চাদপুর, কুমিল্লা, হোমনা, শাহরাস্তিতে তো ‘ক্ষুধার চাপ’ কম, লেখাপড়ার চল বেশি, সেখানে কেন বাল্যবিবাহের হিড়িক? ওজনদার ও অংশগ্রহণমূলক গবেষণা ছাড়া এই প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য উত্তর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে চাঁদপুরের একটি মসজিদের ইমাম সবকিছু শুনে তাঁর এলেম আর অভিজ্ঞতা দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সমস্যা পেটের নয়, সমস্যা মগজের। একটু মারফতি ধরনের হলেও তাঁর যুক্তি অকাট্য। ১৮ বছর পার হলেই নগদ টাকার চাহিদা বাড়তে থাকে। এসব নতুন কিছু নয়। তাহলে করোনাকালে দলে দলে বাল্যবিবাহের কারণ কী? ইমাম সাহেবের সহজ উত্তর, অর্থনীতির ‘সাপ্লাই অ্যান্ড ডিমান্ড’ নীতি এখানে কাজ করেছে।

শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে থাকার কারণে এসব বর্ধিষ্ণু অঞ্চলের যুবকেরা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, ইউরোপ-আমেরিকা আর পূর্ব এশিয়ার ধনী দেশগুলোতে অনেক দিন থেকেই চাকরি-ব্যবসা করেন। করোনার কারণে অনেকেই দেশে ফিরে আসেন অনির্দিষ্ট ছুটিতে। কেউ কেউ আটকা পড়েন ফিরতি ফ্লাইটের অভাবে। প্রবাসীদের এমন অঢেল ছুটি স্বপ্নের অতীত। আগে দু-একবার বিয়ের ইরাদা নিয়ে দেশে এসে মেয়ে দেখতে দেখতে ছুটি ফুরিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকের ছিল। তাই করোনার ছুটি অনেকের কাছে বিয়ের পয়গম হয়ে ধরা দেয়। অভিভাবকের দল পাত্রী খুঁজতে নেমে পড়েন ঝাঁকে ঝাঁকে। এভাবে বিয়ের বাজারে সম্ভাব্য পাত্রীর চেয়ে পাত্রের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে বয়সের বাছবিচার উবে যায় মুহূর্তে। যাদের মগজের বড়শিতে গাঁথা আছে ‘মাসিক হলেই সে বিয়ের উপযুক্ত’, তাদের এই প্রতিযোগিতামূলক বাজার থেকে ফেরাবেন কীভাবে। এখানেই অভাবক্লিষ্ট ভূরুঙ্গামারীর বাবা আর শিক্ষিত-ধনী মতলবের বাবা একই সুরে বলে ওঠেন, ‘ভালো একনা আলাপ আসছে, তাই মোর মেয়েটার বিয়ে দিছং বাহে।’

বালিকারা কি রাজি ছিলেন বিয়েতে

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে করোনাকালে বিয়ে নামের নিগ্রহের শিকার হওয়া মেয়েরা যেন সব বাল্যবিবাহের শিকার বালিকাদের কথাই বলেছে। বিয়েতে তাদের মত ছিল না। লেখাপড়া করে অনেক দূরে যেতে চায়। শেষ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজন লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার শর্ত মেনে নিলে তারা বিয়েতে মত দেয়। কোনো কারণে স্বামী বা শ্বশুর যদি তাদের পড়াতে না চান, তাহলে স্বামীর সংসার ছেড়ে দেবে তারা। তবু লেখাপড়া ছাড়বে না।

মাঠপর্যায়ে তথ্যতালাশ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকদের চাপে বিয়েতে রাজি হলেও সে রাজি নিঃশর্ত ছিল না। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার শর্তে তারা বিয়েতে মত দিয়েছিল। এমন বিয়ের পরও মেয়েরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। না হলে নবজাত শিশু কোলে নিয়ে শিক্ষকের ডাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কুলে ক্লাস করতে ছুটে আসত বালিকা মাতা। দরকার হলে তারা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মন্দিরবাজার এলাকার মাম্পি খাতুনের মতো পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। বছর দুয়েক আগে ১৪ বছর বয়সেই মাম্পি খাতুনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন তার বাবা সুরজুল ঘরামি; মাম্পির শর্ত ছিল পড়াশোনা বন্ধ করা যাবে না। শ্বশুরবাড়ি শর্তের কথা ভুলে গিয়ে সালিস বসালে প্রকাশ্য মজলিশে মাম্পি তাঁর স্বামীকে তিন তালাক দিয়ে স্কুলে ফিরে যায়। সারা ভারতে মাম্পি সাড়া ফেলে দিয়েছিল তার অধিকার রক্ষার পদক্ষেপে।

পড়াশোনায় ফেরানোর উপায় কী হতে পারে

এই প্রশ্নের একক কোনো উত্তর নেই। সবাই যে মাম্পির মতো পদক্ষেপ নেবে, সেটা হলফ করে বলা যাবে না। কেউ কেউ হয়তো হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নেবে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মতো। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করবে ঝুলন্ত লাশ আর কোনো অভিযোগ না থাকায় একটা নতুন সংখ্যা যোগ হবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার পাতায়। তবে আশার কথা, ঝালকাঠির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিপরীত পথে হাঁটার মতো মনের জোর এখনো অনেকের অটুট আছে। ভোলার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফসা থানায় গিয়ে আশ্রয় চেয়েছে তার অমতে বিয়ের বিরুদ্ধে। দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী হাফসা। পরিবারের সঙ্গে একমত না হয়ে থানায় এলে এসব শিশুর পরিবার আরও বৈরী হয়ে ওঠে। পরিবার তার জন্য আর নিরাপদ স্বস্তির জায়গা থাকে কি? পশ্চিমবঙ্গের মাম্পি খাতুনের পাশে তার স্কুলের শিক্ষকেরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা মাম্পির পরিবারকে নজরদারির মধ্যে রেখেছেন।

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের বিশেষ কর্মসূচি আর অর্থ বরাদ্দ আছে। কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে সেই কর্মসূচিকে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে, সবার জন্য একই মাপ (ওয়ান সাইজ ফর অল) নীতিতে না গিয়ে স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে হবে। পদক্ষেপের একটাই লক্ষ্য হবে, ‘যত বেশি সম্ভব শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে আনা।’ পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে এই নতুন পরিকল্পনায়। সততার সঙ্গে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে:

১. যেসব ছেলেমেয়ে কাজে-চাকরিতে ঢুকে গেছে, তাদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখার জন্য কী করা যায়?

২. যে মেয়েটি এর মধ্যে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য হয়েছে, সে কীভাবে সম্পৃক্ত থাকবে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো যদি তাকে কোলের শিশুকে সঙ্গে করে আনতে হয়, তবে স্কুলে এসব শিশুকে রাখা বা দেখাশোনার সহজ কী বিধান হতে পারে?

৩. যে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে দূরে, কাছের স্কুলে তাকে কীভাবে ঠাঁই দেওয়া যায়?

৪. বিবাহিতদের গর্ভধারণ বিলম্বিত করার ক্ষেত্রে স্কুল কি কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে?

পৃথিবীর কোনো সমস্যাই সমাধান-অযোগ্য নয়। শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছার, সৎ নিয়তের। সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আরেকটি কথা। প্রচলিত আইনের বাইরে গিয়ে যেহেতু বিয়েগুলো হয়েছে, তাই এসব বিয়ের পক্ষে আদালতের আমলযোগ্য কোনো বৈধ দলিল-দস্তাবেজ নেই। এটা বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে মোটেও সহায়ক কোনো পরিস্থিতি নয়। বিশেষ ব্যবস্থায় বিয়েগুলো এবং মৌখিক শর্তগুলো নথিভুক্ত করা জরুরি।

লেখক: গবেষক nayeem 5508 @gmail. com