সখীপুরে কর্মচারীকে খুন করে সোনার দোকানে লুট
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি সোনার দোকানের এক কর্মচারীকে খুন করে প্রায় ৬০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে শ্রীকৃষ্ণ জুয়েলারি ওয়ার্কশপ নামে ওই দোকানে হামলা চালিয়ে ডাকাতেরা লুটপাট চালায় বলে ওই দোকানের মালিকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
দোকানের মালিক গোবিন্দ লাল কর্মকার বলেন, ডাকাতেরা অজিত সরকার (৩২) নামের এক কর্মচারীকে খুন করে তাঁর দোকান থেকে ১০০ ভরি সোনা, এক হাজার ভরি রুপা, ৮০০ ভরি এনটিক সামগ্রী এবং বন্ধক রাখা আট লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে। অজিত সরকারের বাড়ি উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম বিশ্বনাথ সরকার। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ডাকাতি ও খুনের মামলা করেছেন।
পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কর্মচারী প্রদীপ কর্মকার (৩০) ও বিকাশ কর্মকার (২৮), জয়দুর্গা জুয়েলারির মালিক সৌরভ পোদ্দার (৩৫), ডেকোরেটর কর্মচারী ইমন (২৫), বিমল দাস (২৮) এবং সখীপুর বাজারের নৈশপ্রহরী ইয়াদ আলীকে (৩২) আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে গোবিন্দ কর্মকার সখীপুর বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ সড়কে পাইলট স্কুল মার্কেটে অবস্থিত নিজ দোকানের কাজ সেরে কর্মচারী অজিত সরকারকে দোকানে পাহারা রেখে বাসায় যান। পরের দিন গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে অন্য কর্মচারীরা এসে দোকানের শাটার সামান্য খোলা দেখতে পান। তাঁরা দোকানে ঢুকেই মেঝেতে অজিতের লাশ দেখে জুয়েলারির মালিক ও থানার পুলিশকে খবর দেন।
মালিকের ছোট ভাই শিবু লাল কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনায় আমাদের দোকানের প্রায় ৬০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান হাসান মোস্তফা প্রথম আলোকে জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা ও লুটের ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।