সংখ্যালঘু-আদিবাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি
বর্তমান রাজনৈতিক সহিংস পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু অঞ্চলগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।
গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হয়, ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চেয়েও ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হতে পারে সংখ্যালঘুরা। তারা অভিযোগ করেছে, গত কয়েক সপ্তাহে পাবনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারেনি সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। বলা হয়, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে পাঁচ দফা দাবি করা হয়। এর মধ্যে আছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার হাত থেকে রক্ষার জন্য সংখ্যালঘুদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিজিবি বা প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা, নির্বাচন পরিচালনায় নিযুক্ত প্রশাসনিক ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাম্প্রদায়িক তৎপরতার বিষয়ে সচেতন করা।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কোনো সরকারই এ দায় থেকে মুক্ত হতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল রোজারিও, আদিবাসী নেতা দীপায়ন খীসা প্রমুখ।
মানববন্ধন ৬ ডিসেম্বর: জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর আগমন উপলক্ষে আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।