শ্যামনগরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সামান্য আহত হয়েছেন পুলিশের দুই কনস্টেবল। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার কাশিমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ বিএনপির কর্মী হলেন জামাল ফারুক (৩৬)। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ জানান, জামাল কাশিমারী ইউনিয়ন মত্স্যজীবী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে জামালকে প্রধান আসামি করে আরও চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সগীর মিয়া প্রথম আলোকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, জামাল ফারুকসহ একাধিক মামলার কয়েকজন আসামি উপজেলার কাশিমারী গ্রামের সরদারপাড়ায় জাফর সরদারের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এর ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক বি এম লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ দুপুর দুইটার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এ সময় বাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে দা, রামদা, বাঁশের লাঠি নিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ১৫-১৬ জন কর্মী পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ গুলি চালালে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জামালকে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক রবিউল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ জামালের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তাঁর বাঁ পায়ে একটি গুলি লেগেছে।
ওসি সগীর মিয়া দাবি করেন, জামাল বিএনপির কর্মী হলেও ওই এলাকায় তিনি বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতের কর্মীদের সংগঠিত করে দীর্ঘদিন ধরে নাশকতা ও সহিংসতা চালিয়ে আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য, বিশেষ ক্ষমতা ও দ্রুত বিচার আইনসহ সাম্প্রতিক নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে।
গুলিবিদ্ধ জামালের বোন আজিমুন্নেসা জানান, তাঁর ভাই দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি জানতে পারেন, সরদারপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর ভাই আহত হয়েছেন। তাঁকে (জামাল) শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।