রিকশাচালকের পকেটে চকলেট
এক টাকার কাগজের নোট ও মুদ্রার সরবরাহ না থাকায় বাজারে খুচরা টাকার তীব্র সংকট চলছে। বিড়ম্বনা এড়াতে ঠাকুরগাঁওয়ের হোটেল-রেস্টুরেন্ট, পানের দোকান, মুদি দোকান, ওষুধের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানের মালিকেরা খুচরা টাকার বিকল্প হিসেবে চকলেট দিয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করেন।
খুচরা টাকা নিয়ে আরোহীর সঙ্গে বাগিবতণ্ডা এড়াতে এখন রিকশাচালকেরাও পকেটে চকলেট রাখতে শুরু করেছেন। তাঁরা এক টাকার বিকল্প হিসেবে চকলেটকে কাজে লাগাচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁও শহরের হলপাড়ার বাসিন্দা ফেরদৌস আরা জানান, খুচরা টাকার সংকটের কারণে রিকশা ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে প্রায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক সময় দু-এক টাকা ফেরত নিতে না পারায় আরোহীকে বেশি ভাড়া দিতে হয়। এ নিয়ে আরোহী ও চালকের মধ্যে ঝামেলাও হয়।
টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিক জানান, তিনি কাঁচা বাজার করতে নিয়মিত কালীবাড়ি বাজারে যাতায়াত করেন। রিকশাচালকেরা সাধারণত ১২ টাকা ভাড়া নেন। গন্তব্যে এসে ভাড়া পরিশোধ করতে ১৫ টাকা দেওয়া হলে রিকশাচালক তাঁকে দুই টাকার নোটের সঙ্গে একটি চকলেট হাতে ধরিয়ে দেন। এর কারণ জানতে চাইলে রিকশাচালক তাঁকে জানান খুচরা এক টাকা নেই।
রিকশাচালক মধুসূদন রায় জানান, খুচরা টাকার অভাবে আরোহীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া লেগে যায়। তাই ঝগড়া এড়াতে তিনি পকেটে চকলেট রাখেন এবং আরোহীকে এক টাকার পরিবর্তে একটি করে চকলেট দিয়ে দেন।
ঠাকুরগাঁও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক মহিদুর রহমান চৌধুরী জানান, এমনিতে খুচরা টাকার সরবরাহ কম। আবার বাজারে এক টাকার যে মুদ্রা আছে তা গ্রাহকের হাতে যাওয়ার পর মাটির ব্যাংকে সঞ্চয় করার প্রবণতা বেশি হওয়ায় এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে।