রায়ের সমালোচনা করা যাবে, তবে মানি না বলা যাবে না: হাইকোর্ট
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছিল। রিট ক্রম অনুসারে উঠলে একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘বিচারপতির প্রশংসা বা নিন্দা কোনোটাই করা উচিত নয়। রায়ের গঠনমূলক সমালোচনা করা যাবে, তবে রায় মানি না এটি বলা যাবে না।’
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। এ সময় আদালত বলেন, ‘ইউটিউবে দেখলাম, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের (বেঞ্চ) প্রশংসা করেছেন।
অনেক বিচারপতি সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। উনি (জাফরুল্লাহ চৌধুরী) সাহস দেখাতে বলেছেন। এমনিতেই যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি আদেশ হয়, তাহলেও মানুষের মনে নানা ধরনের ধারণা হতে পারে। তাই রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করা ভালো।’ পরে আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহিব উল্লাহ খন্দকার ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি চেয়ে ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাভারে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ২০১০ সালে ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পান।অধিভুক্ত হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানায়, ৫০ জনের বেশি ভর্তি করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আপিলের ভিত্তিতে ১০ জন বাড়ানো হয়। অথচ গণস্বাস্থ্যের অবকাঠামো ১১০ জনের, যে কারণে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি চেয়ে রিটটি করেন। আদালত বলেছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমার অনেক প্রশংসা করেছেন। এ মামলায় যদি আদেশ দেওয়া হয়, তাহলে কেউ অন্য মন্তব্য করতে পারেন। সে জন্য রিটটি নিয়ে অন্য আদালতে যান। রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।