প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
এনডিসি কমান্ড্যান্ট, ফ্যাকাল্টিস, স্টাফ মেম্বারস এবং এনডিসির নতুন স্নাতক ও ওয়ার কোর্স গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসস ও ইউএনবির।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে কেবল যুদ্ধের জন্য নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যেকোনো আগ্রাসন থেকে দেশের ভূখণ্ড রক্ষায় শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী প্রয়োজন। একটি দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সব সময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের সঙ্গে থাকবে।
বছরব্যাপী এই এনডিসি কোর্সে দেশ-বিদেশের মোট ৬৪ জন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে মিসর, নাইজেরিয়া, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, জর্ডান ও তাঞ্জিনিয়ার ২৬ সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন। সাফল্যের সঙ্গে কোর্স সম্পন্ন করায় এনডিসি গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের বহুমাত্রিক বিশ্ব পরিসরে প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। প্রায় ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে এবং তিন কোটি ২৬ লাখ মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত। বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীতে প্রযুক্তি ব্যবহারে সফলভাবে সক্রিয় উৎসাহ জুগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, শোষণমুক্ত সমাজ গঠন, যেখানে প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় এসব নীতি বাস্তবায়নে তাঁর সরকার অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল মোল্লাহ ফজলে আকবরও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমদ সিদ্দীক এবং জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশি ক্যাডেটদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে তাঁদের বছরব্যাপী অবস্থানে অনেক বাংলাদেশির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই হূদ্যতা ও আন্তরিকতা চিরকাল বেঁচে থাকবে।