যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ অনিশ্চিত
নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের সারসংক্ষেপের তালিকা (সফট কপিসহ) যথাসময়ে গেজেট আকারে প্রকাশে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গতকাল বুধবারের মধ্যে সারা দেশ থেকে এ তালিকা বিশেষ দূত মারফত নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানোর সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু অবরোধের কারণে গতকাল মাত্র একটি জায়গা থেকে সারসংক্ষেপ ইসির হাতে এসেছে।
ফলে ভোট গ্রহণের অন্তত ২৫ দিন আগে, অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রণীত প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী এবার দেশে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭১১টি।
১ ডিসেম্বর ইসির জারি করা পরিপত্র-৬ অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের সারসংক্ষেপের দুটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা বিশেষ দূত মারফত ইসিতে পাঠানোর কথা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের। এ তালিকায় ভোটকেন্দ্রের নাম ও অবস্থান, ভোটকক্ষের (পোলিং বুথ) সংখ্যা, পল্লি এলাকার ক্ষেত্রে গ্রামের নাম, শহর অঞ্চলের জন্য ওয়ার্ড, মহল্লা বা রাস্তার নাম, ভোটার এলাকা বিভক্ত হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে ভোটারদের ক্রমিক নম্বর, প্রতিটি কেন্দ্রের নারী ও পুরুষ আলাদা করে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রভৃতি তথ্য থাকে।
এ ছাড়া নতুন ভোটকেন্দ্রের নাম ও নম্বর এবং পরিবর্তিত ভোটকেন্দ্রের নাম ও নম্বরও সে তালিকায় অবশ্যই উল্লেখ করার কথা। ওই পরিপত্র অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করার কথা।
সূত্র বলেছে, অবরোধে যানবাহন চলাচলে সমস্যার কারণে সারসংক্ষেপ পৌঁছায়নি। ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত পাঠানো তথ্যগুলোতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারের সই লাগবে। তারপর ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০০ আসনের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ভোট গ্রহণের দিনের অন্তত ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা সরকারি গেজেটে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবরোধের সময় সরাসরি আসতে যে কারোরই অসুবিধা হওয়া স্বাভাবিক। তাই ইন্টারনেটে ই-মেইলের মাধ্যমে সারসংক্ষেপ পাঠালেও তা গ্রহণযোগ্য হবে।’