মৃতদেহটি উদ্ধারে এগিয়ে এলো না কেউ!
পদ্মা নদীর পাড়ে সিসি বক বাঁধের ঢালে আটকা পড়েছিল হাত-পা বাঁধা এক যুবকের (৩৫) মৃতদেহ। সেটা উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছিল এলাকাবাসী। কিন্তু কেউ উদ্ধারে এগিয়ে না আসায় ১৬ ঘণ্টা পর এলাকাবাসী মৃতদেহটি বাঁশ দিয়ে নদীতে ঠেলে ভাসিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মধু ফকিরেরডাঙ্গি গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজীরটেক ইউনিয়নের হাজিগঞ্জের উজানে মধু ফকিরেরডাঙ্গি গ্রামে পদ্মার নদীর পাড়ে গতকাল সোমবার বেলা একটার দিকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ আটকে থাকতে দেখা যায়। হাত-পা বাঁধা লাশটির পরনে ছিল কালো জ্যাকেট ও জিন্সের প্যান্ট। মৃতদেহটির মাথা ছিল না। মৃতদেহটি আনুমানিক চার-পাঁচ দিনের পুরোনো হবে। মৃতদেহের পচা গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রশাসনকে জানানোর পরও কেউ এগিয়ে না আসায় আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে মৃতদেহটি বাঁশ দিয়ে ঠেলে নদীতে ভাসিয়ে দেয় এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের দাবি, মৃতদেহটি দেখার পর এলাকাবাসী তা উদ্ধারের জন্য চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব হাসানকে জানিয়েছিল। কিন্তু লাশ উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেননি।
এ ব্যাপারে ইউএনও মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে মৃতদেহ আটকে থাকার খবর জেনে আমি ওসি মাজহারুল ইসলামকে গতকালের মধ্যেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলি। মৃতদেহটি উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তাঁরই গ্রহণ করার কথা। কিন্তু কেন তিনি মৃতদেহটি উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নিলেন না, আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
ওসি মাজহারুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার ছুটিতে যাওয়ায় এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘আমি ইজতেমার দায়িত্বে গিয়েছিলাম। আজ কাজে যোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।’ গতকাল সোমবার থানার দায়িত্বে ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজান। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পালনকালে কোনো মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি।’