মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগপত্র জমা
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফতোয়াবাজ মাতবরদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। দুই মাস আগের ফতোয়াবাজির একটি অভিযোগকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ওসি নিজেই এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
ওসি মাহমুদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, হিল্লা বিয়ের ঘটনা থানায় আপস করা যাবে না—এমন কথা ঠিক নয়। তার পরও মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারী দলের পরামর্শে ও তাদের প্রতি সমঞ্চান জানিয়ে দুই মাস আগের অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত করে তা মামলা গ্রহণের জন্য আদালতের অনুমতির আবেদন করা হয়। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করার পর গতকাল পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর ‘তালাক বললেই হিল্লা বিয়ে, নয়তো গ্রামছাড়া’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চকজোড়া গ্রামে আসে মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। দলটি ওসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনার ৩৪১ ও ৩৪২ ধারা লঙ্ঘন করে থানায় বসে হিল্লা বিয়ের ফতোয়ার ঘটনা আপস করে দেওয়ার সত্যতা পায়।
দলের প্রধান ও কমিশনের উপপরিচালক ইমাম উদ্দিন কবির স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে মন্তব্য করেন, ‘ঢাকায় ফিরে ওসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনে সুপারিশ করা হবে।’
অভিযোগপত্রে ৩৪১ ধারায় দক্ষিণ চকজোড়া গ্রামের আখতার হোসেন ও ঝরনা বেগম দম্পতিকে হিল্লা বিয়ের ফতোয়া দানকারী ও একঘরে করার মূল হোতা মাতবর আবদুল হামিদ, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল বারী, জাহিদ ওরফে ফজলু ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।