মহাদেবপুরে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আতাউর রহমান (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মহাদেবপুর থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আর পুলিশের চার সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের বামনছাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে ওই গ্রামে ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায়মোটরসাইকেলের চালক রুবেল হোসেন ভটভটির চালক রাজু হোসেনকে মারধর করেন। এ ঘটনা মীমাংসা করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠক বসে।
বৈঠকে রুবেলের বন্ধু মোয়াজ্জেম হোসেন ভয়ভীতি দেখালে গ্রামবাসী তাঁকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিরোধ হয়। পুলিশ বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনিও ঘটনাস্থলে আসেন।
একপর্যায়ে পুলিশ মোয়াজ্জেমকে উদ্ধার করে পিকআপ ভ্যানে তুলতে গেলে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তিনটি গুলি ছোড়ে। এরপর গ্রামবাসী একযোগে ইউএনও, ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া করে এবং মারধর করে তাঁদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আমিনুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ইউএনও আমিনুর রহমান তাঁকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীর নিক্ষেপ করা ঢিলে তিনি আহত হন। ওসি এনায়েত উদ্দিন বলেন, পুলিশের মারধরে কেউ মারা যায়নি।
তবে উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান শেখ আলম শাহ ফয়সাল বলেন, পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটার কারণেই সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।