মহাজোটে নির্বাচনী উৎসব, বিরোধী শিবিরে আতঙ্ক
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ও দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের শরিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। অপরদিকে নির্দলীয় সরকার, তফসিল বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না। তাঁরা আছেন গ্রেপ্তারের আতঙ্কে।
চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলার আংশিক) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম সবেদ আলী, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি সোহরাব হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন।
সোলায়মান দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আনাগোনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মুখর থাকছে। অন্যরাও নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা এবং সদর উপজেলার আংশিক) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আলি আজগার। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ। তবে সাংসদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাধারণ নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া এই আসনের সাবেক সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মীর্জা সুলতান রাজার ভাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শেখ, জাতীয় পার্টির আকবর আলী ও জেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) মনজুর উল করিম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মহাজোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী প্রস্তুতি চলছে।
আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের শরিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে উৎসবে মেতে উঠলেও ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা স্বস্তিতে নেই। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জোটের ডাকা অবরোধ চলাকালে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী শাহ, যুবদলের নেতা রফিকুল হাসানসহ বিএনপি-জামায়াতের ডজন খানেক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে জোটের শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগই আত্মগোপনে আছেন।