ভ্যাটের অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নের জন্য টাকার চেক বিতরণের সময় প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ভ্যাটের অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার একাধিক প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিবছর সরকারি বরাদ্দ থেকে তাঁরা বিদ্যালয়ে নানা কাজ করিয়ে থাকেন। তাঁরা জানান, চলতি বছর প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছেন। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) এই টাকার চেক বিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া হয়েছে। চেক দেওয়ার সময় তাঁদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁদের এই টাকা জমা দিতে বাধ্য করেছেন। এভাবে তিনি উপজেলার ১৩৬টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চার লাখ আট হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু অন্য বছরগুলোতে তাঁরা চেক নিয়ে স্কুলের হিসাবে জমা করেছেন। এরপর পরিচালনা পরিষদ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে টাকা খরচ করে পাঁচ শতাংশ হারে ভ্যাট ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। ভ্যাটের অজুহাতে এবার তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভ্যাট বাবদ এই টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষকেরা কাজ শেষে ভ্যাটের টাকা জমা দেন না। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খরচের পর বাকি টাকা তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে।
অবশ্য শিক্ষকেরা জানান, কাজ শেষে পাঁচ শতাংশ হারে ভ্যাট জমা দেন।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।