২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিশনের কাছে দুই হাজার লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। গত তিন দিনে ভোলার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা কমিশনের কাছে এসব অভিযোগ ও সাক্ষ্য দেন। তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভোলায় হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগসহ দুই হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া শতাধিক মিথ্যা মামলার অভিযোগ আছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় এ মামলাগুলো করেছেন তত্কালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ওই সব অভিযোগের মধ্যে বেশির ভাগই ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত। এ ছাড়া লালমোহন ও বোরহানউদ্দিনে নির্বাচনের দিন দুটি হত্যা এবং নির্বাচনের পর ভোলা সদর ও লালমোহনে চোখ উত্পাটনের অভিযোগ আছে। হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের শতাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শতাধিক হিন্দু পরিবার ভোলা ছেড়ে ভারত চলে গেছে। গত রোববার ভোলায় আসা তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনোয়ার হোসেন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মীর শহিদুল ইসলাম। তাঁরা গত রোববার ভোলা সার্কিট হাউসে ভোলা সদর, দৌলতখান, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার, সোমবার লালমোহন-তজুমদ্দিন এবং গতকাল বোরহানউদ্দিন উপজেলাবাসীর অভিযোগ ও সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।