গাজীপুরের টঙ্গীর তৃপ্তি হোটেলের মালিক সাইফুল ইসলামকে (৩০) ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের সহায়তায় খুন করা হয়। আর এটি হয় সাইফুলের স্ত্রী সুপ্তি বেগম ওরফে টুম্পা (২৪) ও তাঁর প্রেমিক রাফিউল হক ওরফে রকির (২৫) পরিকল্পনা অনুযায়ী।
গ্রেপ্তার হওয়া রাফিউল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এই কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন।
গ্রেপ্তার হওয়া সুপ্তি, রাফিউল ও তাঁদের সহযোগী রাজীব হোসেন ওরফে সজীবকে (২২) গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। রাফিউল রাজধানীর আশা ইউনিভার্সিটির বিবিএ সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র। তাঁর বাড়ি জামালপুরের বগাবাইদ গ্রামে।
আদালতে পাঠানোর আগে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে নিয়ে গতকাল টঙ্গী মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, টঙ্গী থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাফিউলকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে আটক করে। পরে ১৬৪ ধারায় দেওয়া তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত রোববার বিকেলে সুপ্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে নেওয়া হয়। একই দিন তাঁদের সহযোগী সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, রাফিউল তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সুপ্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সুপ্তিকে বিয়ে বিচ্ছেদ করতে বলেন। সুপ্তি বিয়ে বিচ্ছেদে রাজি না হয়ে তাঁর স্বামী সাইফুলকে হত্যার করার পরামর্শ দেন। এক লাখ টাকায় সন্ত্রাসী ভাড়া করে গত ৩ সেপ্টেম্বর সাইফুলকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপারের বক্তব্যের পর সাংবাদিকেরা সুপ্তির কাছে রাফিউলের জবানবন্দি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি। রাফিউলও তাঁর বক্তব্য অস্বীকার করেননি।
নিহত সাইফুলের বড় ভাই মো. মহিন মাহমুদ বলেন, ‘সাইফুল নিহত হওয়ার পর আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাইফুলের স্ত্রী নিজেকে রক্ষা করতে এতে বাধা দেয়।’