ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা ও বিজয়নগর থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাজারের একটি দোকানের ছাদ থেকে কামাল হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রামরাইল সেতুর ওপর থেকে মো. রাজু মিয়া (১৮) নামের আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়
কামাল বিজয়নগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফায়েজ মিয়ার ছেলে এবং রাজু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ভাদুঘর গ্রামের মুসলেম উদ্দিনের ছেলে। রাজু ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া পথে চলাচলকারী একটি বাসের চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন চম্পকনগর বাজারের কবির এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানের ছাদে কামালের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। কামাল ওই দোকানে চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, কামাল চুরি করতে গিয়ে দোকানের ছাদে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে গতকাল রাতে হানিফ মিয়া নামের স্থানীয় এক যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে রামরাইল সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় রাজুকে অচেতন অবস্থায় সেতুর ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজুকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই ওই তরুণ মারা গেছেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর নিহত তরুণের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।