বেঁচে থেকেও সাক্ষী হতে পারলেন না অমলেন্দু
জগৎমল্লপাড়ার জোছনা চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল তাঁর স্বামীসহ স্বজনদের হত্যা করা হয়েছিল বাড়ির উঠানে। অশীতিপর জোছনা এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। কিন্তু সাক্ষী হতে পারলেন না বিচারের।
হত্যার জন্য দায়ী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় ঘোষণার প্রায় বছর খানেক আগে জোছনাও চলে যান না ফেরার দেশে। জোছনার মতো না ফেরার দেশে গেছেন একই পাড়ার অরুণাংশ চৌধুরীও। তিনিও মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। স্বজন হারানো এই লোকটিও দেখে যেতে পারলেন না সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায়। দুই মাস আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জোছনা ও অরুণাংশ সাকার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে আসছিলেন। তবে এই দুজনের চেয়েও বেশি হতভাগ্য একাত্তরে পিঠে গুলিবিদ্ধ অমলেন্দু চৌধুরী। বেঁচে থেকেও অমলেন্দু সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারছেন না।
চার মাস আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন অমলেন্দু চৌধুরী। এখন তিনি কথা বলতে পারেন না। হাঁটাচলাও করতে পারেন না। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে জগৎমল্লপাড়ায় যখন হত্যাযজ্ঞ চলে তখন পিঠে গুলিবিদ্ধ হন অমলেন্দু। এর পরও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। আজও সেই গুলির চিহ্ন পিঠে স্পষ্ট। গতকাল রায় ঘোষণার পর তার ঘরে গেলে দেখা যায়, তিনি ফ্যাল ফ্যাল করে কেবল তাকিয়ে আছেন।