বরিশালে বিএনপির কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে বিভ্রান্তি
বরিশালে জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে বিভ্রান্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব। তাঁর দাবি, কমিটি পুনর্গঠনের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দলের একটি অংশ। একই সঙ্গে রুহুল কবির রিজভীর সই জাল করারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র আহসান হাবিব তাঁর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে আহসান হাবিব বলেন, ‘এ মুহূর্তে দেশে আন্দোলন চলার কারণে দলের চেয়ারপারসন অবরুদ্ধ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সেই সময় স্বার্থান্বেষী একটি মহল কেন্দ্রীয় মহাসচিবের সইবিহীন বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) কমিটি গঠনের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। রুহুল কবির রিজভীর সইয়ে এ কমিটি পুনর্গঠনের যে কাগজ বরিশালে এসেছে, তা স্পষ্ট নয়। এটি অনেকটা ধোঁয়াসার সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো আহসান হাবিব ও বিলকিস জাহানের কমিটি বহাল আছে। কমিটি বাতিলের কোনো নির্দেশনা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেননি।
আহসান হাবিব বলেন, ২০১১ সালের ২৩ জুন চেয়ারপারসন তাঁকে সভাপতি এবং বিলকিস জাহানকে সাধারণ সম্পাদক করে বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন। এরপর দলে দীর্ঘদিনের কোন্দল নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গড়ে ওঠে। এই প্ল্যাটফর্ম নষ্ট করার জন্য দলের ওই অংশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত ২৯ নভেম্বর রহুল কবির রিজভীর সই-সংবলিত একটি চিঠি বরিশালের বিভিন্ন গণমাধ্যম কার্যালয়ে পাঠান জেলা (দক্ষিণ) কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবিদার আবুল কালাম। ওই চিঠিতে এবায়দুল হককে সভাপতি ও আবুল কালামকে সাধারণ সম্পাদক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে পুনর্গঠিত কমিটির সভাপতি এবায়েদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি এমন দল নয় যে ভুয়া সই দিয়ে কমিটি করার কেউ সাহস দেখাবে। আমাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়ার নির্দেশে রুহুল কবির রিজভী ওই কমিটিতে সই করেছেন।’
বরিশালে আহসান হাবিব ও মজিবর রহমান সরোয়ারের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ, হামলা, মামলার ঘটনা চলে আসছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে জেলার সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন আহসান হাবিব। ওই পদ জেলার সাবেক সভাপতি ও মেয়র পদপ্রার্থী এবায়দুল হককে দেওয়ার শর্তে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। কিন্তু বিজয়ের পর তিনি জেলার সভাপতির পদ ছাড়তে রাজি হননি।