বন্যাদুর্গত এলাকায় ১৫৭টি মোবাইল টাওয়ার সচল হয়েছে: বিটিআরসি
ভারী বর্ষণ ও বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার ১ হাজার ১৫৯টি মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত মোবাইল ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৫৭টি টাওয়ার সচল করা হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত সচলের চেষ্টা চলছে।
বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ খবর জানানো হয়। এতে আর বলা হয়, বন্যা দুর্গত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে বিটিআরসি একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সেলটি কাজ করবে।
মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দেবেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের একজন পরিচালক। এতে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাঁরা বন্যাদুর্গত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক, অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিটিআরসি জানায়, বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল টাওয়ার রয়েছে ২ হাজার ৫২৮টি। এসব টাওয়ার বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে চলে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যাদুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে সহজ করতে বিটিআরসির উদ্যোগে টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। কমিশন থেকে ২০টি মুঠোফোন সেট সরবরাহ করা হয়েছে। বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বন্যাদুর্গত এলাকার সর্বশেষ অবস্থা কমিশনকে জানাচ্ছে। সরেজমিনে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে প্রতীয়মান হয়েছে যে বর্তমানে সুনামগঞ্জ, সিলেট ও নেত্রকোনায় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো প্রায়ই অচল হয়ে পড়েছে এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো আবারও সচলের কাজটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
বিটিআরসি বলছে, সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন অপারেটর, আইএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সচল ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে প্রয়োজনীয় জেনারেটর, অপটিক্যাল ফাইবার ও পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা চলমান আছে।