ফুলবাড়ী কয়লাখনি প্রকল্পের আশায়থাকা জিসিএমের লোকসান বাড়ছে
ফুলবাড়ী কয়লাখনি প্রকল্পে কয়লা উত্তোলনের অনুমতি পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ব্রিটিশ কোম্পানি জিসিএমের লোকসানের পাশাপাশি নতুন শেয়ার ছেড়েও আশানুরূপ পুঁজি সংগ্রহ করতে না পারায় বার্ষিক সাধারণ সভায় হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। সভায় পরিচালকদের আবারও বিক্ষোভ ও বিব্রতকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। জিসিএমের ব্যবস্থাপনা পরিষদে পরিবর্তনের পর গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত জুনে আগের পরিচালনা পর্ষদ পদত্যাগ করার পর মালয়েশীয় নাগরিক মাইকেল ট্যাং কোম্পানির নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন।
গতকাল সাধারণ সভায় বার্ষিক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪০ কোটি টাকা)। গত বছর এই লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩৩ লাখ পাউন্ড।
কোম্পানির চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, গত আগস্টে পুঁজি সংগ্রহের জন্য কোম্পানিকে কম দামে শেয়ার ছাড়তে হয়েছিল, যা হতাশাজনক। সভায় জানানো হয়, কোম্পানি ব্যয় সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে লোকবল কমিয়ে এনেছে।
জিসিএমের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশাবাদ প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে এলে তাঁরা ফুলবাড়ী প্রকল্পের অনুমোদন পাবেন।
কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়লা এখন বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জিসিএমের প্রতিবেদনে অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে (ওইসিডি) মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ের করা অভিযোগের যে তদন্ত চলছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, কোম্পানি আশা করছে, অভিযোগগুলোর বিষয়ে সন্তোষজনক ফল পাওয়া যাবে।