আসন্ন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয়েছে মাইকিং ও পোস্টার লাগানোর হিড়িক। ছাপাখানাগুলোতেও ভিড় পড়ে গেছে। এদিকে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের জন্যও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।
প্রতীক বরাদ্দ: কুড়িগ্রামের উলিপুর, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জামালপুরের সদর ও সরিষাবাড়ীতে প্রতীক পেয়েছেন সাতজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও ছয়জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
খুলনার কয়রায় চারজন চেয়ারম্যান, চারজন ভাইস চেয়ারম্যান ও দুজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান এবং দীঘলিয়ায় তিনজন চেয়ারম্যান, চারজন ভাইস চেয়ারম্যান ও দুজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, দৌলতপুর, শিবালয় ও সিঙ্গাইর উপজেলায় ১৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রতীক পেয়েছেন তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
মনোনয়ন বাতিল: জয়পুরহাট সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু বাইজিদের মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপির দায়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বরিশাল সদরে চেয়ারম্যান পদে তিনটি মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাতিল হয়েছে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে তিন, হাইমচরে এক ও সদরে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া সদর ও মতলব উত্তরে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাতিল হয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম মাস্টারের মনোনয়ন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার: নওগাঁর রানীনগরে ছয়জন ও মহাদেবপুরে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন আমাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]