নরসিংদীর শিবপুর মডেল থানার একটি কক্ষ থেকে হাজতি মহসীন মিয়ার ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এ ঘটনায় পুলিশের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা বের করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মহসীন মিয়া উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও এলাকার সুলতান উদ্দিনের ছেলে। গত শনিবার গভীর রাতে ডাকাত সন্দেহে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। গত সোমবার সকালে থানার একটি কক্ষের জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ দাবি করছে, মহসীন আত্মহত্যা করেছেন।
কিন্তু মহসীনের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার তাঁরা নরসিংদীর আদালতে হত্যা মামলা করবেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় স্থানীয় বাড়ৈগাঁও ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে মহসীন মিয়ার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মহসীনের বাবা সুলতান বলেন, ‘ছেলেরে যারা মারছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব।’
পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, মহসীনের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি আছে কি না, তা বের করতে গত সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।