উষাতন তালুকদারকে অভিনন্দন অনুষ্ঠান
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আশাবাদ
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ পাহাড়ি-আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও বাঙালি মেহনতি-নির্যাতিত জনতার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উষাতন তালুকদার জাতীয় সংসদে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ উষাতন তালুকদারের নাগরিক অভিনন্দন অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ নাগরিক সমাজের নেতারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উষাতন তালুকদার নাগরিক অভিনন্দন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গতকাল মঙ্গলবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এত বছর পেরোলেও পার্বত্য চুক্তি পুরো বাস্তবায়ন হয়নি। ভূমি কমিশন সংস্কারের বিষয়টি গত সংসদে চূড়ান্ত করা যায়নি। আশা করব, আদিবাসী-পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর এসব দাবি আদায়ের জন্য নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার সংসদে সচেষ্ট থাকবেন। আমরাও তাঁর লড়াইয়ে পাশে থাকব।’
অভিনন্দন কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা যেভাবে এ দেশের অধিকারবঞ্চিত আদিবাসী-পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সচেষ্ট ছিলেন, তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে উষাতন তালুকদারও সেই একই ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা আশা করি।’
সাংসদ উষাতন তালুকদার বলেন, ‘সংসদ সদস্য হিসেবে আমার এ বিজয় এ দেশের শ্রমজীবী মানুষের, পাহাড়ের-সমতলের নির্যাতিত মানুষের। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার উত্তরসূরি হিসেবে আমি সংসদের ভেতরে ও বাইরে দুঃখী-মেহনতি মানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’ তিনি আদিবাসী-বাঙালি সবার সহায়তায় সোনার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উষাতন তালুকদারকে অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রানা দাশগুপ্ত, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, সমকাল-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।