ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের সামনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক ছাত্রকে পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক ওরফে সুজনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন তাঁকে জিআই পাইপ দিয়ে বেদম মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই শিক্ষার্থী হলেন দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র এস এম মারুফুল ইসলাম। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মারধরে আরেফিনের সঙ্গে ছিলেন সোহেল ও ওয়াহিদ (দর্শন-দ্বিতীয় বর্ষ), শাহীন (আইইআর-দ্বিতীয় বর্ষ), আবদুর রহমান (নৃবিজ্ঞান-দ্বিতীয় বর্ষ) ও রাজু (ফিন্যান্স-দ্বিতীয় বর্ষ)।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, মারুফকে প্রথমে আরেফিন ধরে রাখেন আর তাঁর সহযোগীরা পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি নিজেও মারতে শুরু করেন। বেদম মারধরে মারুফ লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের শিক্ষার্থীরা বাঁচাতে এগিয়ে এলে নেতা-কর্মীরা হুমকি দেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলে গেলে শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মারুফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর পায়ের হাড় ভেঙে গেছে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, সূর্য সেন হলের ছাত্র হলেও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় মারুফ আজিমপুরে ছাত্রাবাসে থাকেন। আজ বুধবার মিডটার্ম পরীক্ষা থাকায় গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় পাঠাগারে পড়তে যান। তাঁর আসার কথা শুনেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাঁকে গ্রন্থাগার থেকে বের করে মারধর করেন।
আরেফিন বলেন, মারুফ ছাত্রলীগের কর্মীদের বিএনপি ক্ষমতায় এলে মারধর করার হুমকি দিতেন। এ নিয়ে হলের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। মঙ্গলবার ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁকে ডাক দিলে তিনি মীমাংসার জন্য গ্রন্থাগারের সামনে যান।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।