আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অনীহা দেখালে বা অসহযোগিতা করলে অসদাচরণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে। সচিবেরা এসব বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানাচ্ছেন।
গত ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার সই করা এই দুটি চিঠি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়। দুটি চিঠিতেই নির্বাচনকেন্দ্রিক নির্দেশনা রয়েছে।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে জন্যই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জন জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৫৭৭ জন কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি, আধা সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব অর্পিত হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ‘নির্বাচন কর্মকর্তা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং ওই দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ইসির কাছে দায়ী থাকবেন। নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনে অনীহা, অসহযোগিতা, শৈথিল্য ও ভুল তথ্য প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইনের বিধান সম্পর্কে সচেতন থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
অপর চিঠিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন ও ইসিকে সহযোগিতার জন্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে তাদের অধীন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নির্দেশনা দিতে সচিবদের বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি একই ধরনের নির্দেশনা জারির জন্য শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। এ
ছাড়া নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরের ১৫ দিন পর্যন্ত অন্যত্র বদলি না করতেও বলা হয়েছে।