আদালত প্রাঙ্গণকে দুর্নীতিমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। ইতিমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা দুই বিচারককে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে চট্টগ্রাম ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেয় সমিতি।
এ ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা দীর্ঘদিন ধরে এক জায়গায় দায়িত্বে থাকা ১০ জন বেঞ্চ সহকারী ও পিয়নকে সতর্ক করে অন্যত্র বদলির দাবি জানান নেতারা। অপর দিকে সমিতির অনুমতি ছাড়া কোনো আইনজীবীকে বিচারকদের খাস কামরায় না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সমিতির দালাল উচ্ছেদ কমিটিসহ নেতারা ঝটিকা অভিযান চালাবেন ঘুষ বন্ধ করতে। এরই অংশ হিসেবে কয়েক দিন আগে আশফাক নামের এক দালালের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আদালতে তদবিরে আসবেন না অঙ্গীকারনামা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহামঞ্চদ কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দুই বিচারককে গত ২০ আগস্ট চলে যেতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা না যাওয়ায় ৩০ অক্টোবর সর্বশেষ সময়সীমা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে তাঁরা না গেলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘শুধু বিচারক নন, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। ১০ পেশকার ও পিয়নকে চিহ্নিত করে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন একই দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বদলির সুপারিশ করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে।’
আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমিতির দুর্নীতিবিরোধী এক মুলতবি সভায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহামঞ্চদ শহীদুল আলম ও বিদ্যুৎ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানকে শেষবারের মতো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অর্থ আদায় ও মামলা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয় ১০ জন বেঞ্চ সহকারী ও পিয়নের বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন মুখ্য বিচারিক হাকিমের বেঞ্চ সহকারী শামীম, অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের বেঞ্চ সহকারী জনি খন্দকার, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনসংক্রান্ত আপিল আদালতের বেঞ্চ সহকারী উত্তম, পঞ্চম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাছির উদ্দিন, দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাসুদ, পিয়ন কালাম, সিরাজসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয় গত সোমবার সমিতির দুর্নীতিবিরোধী সভায়।