দুদিকে আসছিল ট্রেন, ফোন কানে পার হচ্ছিলেন তিনি
দুই দিক থেকে আসছিল দুটি ট্রেন। কিন্তু সেদিকে খেয়াল ছিল না তাঁর। ফোনে কথা বলতে বলতে রেল লাইন পার হচ্ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে ট্রেনের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান। রাজধানীর মহাখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মিল্টন কুমার মিত্রের (৩৫) রেললাইন পার হওয়ার এমন বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার মিল্টন ছাড়াও আরও একজন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। অন্যজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মিল্টন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অফিস থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বের হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মিল্টন মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। সে সময় দুদিক থেকে দুটি ট্রেন আসছিল। একটি ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। পরে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। তিনি জানান, আসলে ঘটনাস্থলেই মিল্টন মারা যান। মিল্টনের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে। রাজধানীর পুরান ঢাকায় থাকতেন তিনি।
এদিকে ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হেদায়েত বলেন, আজমপুর মেম্বারবাড়িতে এলাকায় রেলে কাটা পড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। এএসআই বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনের নিচে কাটা মারা যান অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি ও শার্ট। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।