টাগবোট বুঝে না পেয়েও বিল পরিশোধের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ
টাগবোট বুঝে না পেয়েও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করেছে—গণমাধ্যমে আসা এমন অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘টাগবোট (সাহায্যকারী জলযান) না পেয়েই ২৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধ’ শিরোনামে আজ একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
গণমাধ্যমে আসা এই প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক প্রথম আলোকে বলেন, গণমাধ্যমে আসা ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদককে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুদককে অনুসন্ধান কাজে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টাগবোট কিনতে ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় চুক্তি করেছিল একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে টাগবোটটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও তা সরবরাহ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। এমন পরিস্থিতিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা পালন না করে উল্টো টাগবোটের দেখা না পেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে চার ধাপে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে ২৩ কোটি ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ টাকা বিল দিয়েছে।