টাকা নেই, তাই থেমে আছে সন্তানের চিকিত্সা
কোলের সন্তান ছেলে না কি মেয়ে, জানেন না আবদুল হালিম (৩৮) ও মর্জিনা বেগম (৩৫)। চিকিত্সকেরা পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য বলেছেন। তবে সে অর্থও নেই। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ওই দম্পতি।
ঘটনাটি নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় সোনারায় ইউনিয়নের। ২০১৯ সালে হালিম–মর্জিনার ঘরে জন্ম নেয় একটি মেয়ে শিশু। জন্মের ১০-১৫ দিন পর শিশুটির স্ত্রী যৌনাঙ্গের পাশাপাশি পুরুষ যৌনাঙ্গ দেখা দেয়। দুই যৌনাঙ্গই একসঙ্গে বড় হতে থাকে। এতে মহাসংকটে পড়েন তাঁরা।
এই দম্পতি জানান, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য সন্তানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ভূমিহীন এ দম্পতির অভাব-অনটনের সংসারে ঢাকায় এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মতো অর্থ ছিল না। থেমে যায় চিকিত্সা।
শিশুটির শারীরিক ত্রুটির বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘শিশুটির রোগ নির্ণয় করা জরুরি। এ জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এটি একটি যৌন বিকাশজনিত সমস্যা। ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিশুর জিনগত ত্রুটি নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া শিশুর পেলভিক অঙ্গের আলট্রাসনোগ্রাফি ও হরমোন বিশ্লেষণের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করতে হবে।’
শিশুটির বয়স এখন তিন বছর। তার বাবা আবদুল হালিম বলেন, ‘এই ছাওয়াক (সন্তান) নিয়া খুব চিন্তায় আছি। কী যে হবে, হামরা গরিব মানুষ পেটের ভাত জুটির (জোগাড়) পারছি না। ছাওয়ার চিকিৎসা করমো কেমন করি।’
একই কথা বলেন গ্রামের মো. সাহিদ হোসেন। তাঁর ভাষ্য, ‘পরিবারটা অসহায়। দিনমজুরির আয়ে তাঁদের সংসার চলে। আমাদের জমিতে ঘর করে বসবাস করছেন। এ অবস্থায় শিশুটির চিকিৎসা করবেন কীভাবে?’
এমন পরিস্থিতিতে চিকিত্সা চালিয়ে যেতে সমাজের দানশীল ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহায়তার দিকে তাকিয়ে আছেন হালিম-মর্জিনা দম্পতি।
সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ (পার্সোনাল): ০১৩১০১৬৭৮৫২