জরিমানা করে ম্যাজিস্ট্রেট বললেন, কেউ কথা শোনে না
রাস্তার ওপর দোকানের বাড়তি মালামাল রাখা এবং যত্রতত্র গাড়ি (অ্যাম্বুলেন্স) পার্ক করায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২৯ জনকে আটক করে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ অতুল মণ্ডল ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাঁদের এ জরিমানা করেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে এসব এলাকায় আমরা অনেক অভিযান চালিয়েছি— কিন্তু কেউ কথা শুনে না। এ জন্য ভয় দেখাতে ও চাপে রাখতে এ অভিযান চালিয়েছি।’
অতুল মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্ত্বেও নিউমার্কেটের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দোকান খোলা, নিউ মার্কেটের বনলতা মার্কেটে রাস্তার ওপর মালামাল রাখার এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে অবৈধ গাড়ি পার্ক করার অপরাধে ২৯ জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, আটক ২৯ জনের মধ্যে বেশির ভাগই সংশ্লিষ্ট দোকানের কর্মচারী এবং অন্যরা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহকারী। তাঁরা প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, দোকানের মালিকদের গ্রেপ্তার না করে তাঁদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো? তাঁদের কয় টাকা বেতন? টাকার দরকার হলেই ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালান। আদায় করা টাকা পরে ম্যাজিস্ট্রেটসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা ভাগাভাগি করে নেন।
দোকান মালিকদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, ‘আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হলেও কোনো সরকারি রসিদ দেওয়া হয়নি। এটা কোন ধরনের জরিমানা?’ আটক একজনের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ করলে গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে যাবে। কেন তাদের গ্রেপ্তার করে আনা হলো? টাকা খাওয়ার জন্যই তাদের এ পাঁয়তারা।’