ছাত্রীর মাথায় বেত্রাঘাত, ১৭ দিন ধরে অসুস্থ
রংপুরের পীরগাছায় শিক্ষকের বেতের আঘাতে অসুস্থ পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী ১৭ ধরে স্কুলে যেতে পারছে না। চিকিৎসক বলছেন, মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে।
ওই ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, কৈকুড়ী ইউনিয়নের কৈকুড়ী মিঠাপাড়া গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে নিশি আক্তার কৈকুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম গণিত ক্লাসে শিক্ষার্থীদের জ্যামিতি চিত্রাঙ্কন করতে দেন। নিশি জ্যামিতি অঙ্কন করতে ভুল করলে ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাথায় বেত্রাঘাত করেন। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২১ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুর ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাখেরুল ইসলামকে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই এখন পর্যন্ত নিশির চিকিৎসা চলছে। নিশির পরিবারের সদস্যরা জানান, এখনো সে সুস্থ হয়ে ওঠেনি। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হলেও সে তাতে অংশ নিতে পারেনি।
নিশির বাবা নুরুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পড়াশোনায় কোনো মনোযোগ নেই। আমরা গরিব মানুষ তাই কোথাও অভিযোগ করতে পারিনি।’
ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতের পর নিশি আক্তার আর বিদ্যালয়ে আসে না। নিশি বলে, জ্যামিতিতে ভুল হওয়ায় শিক্ষক বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তার মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নিশি আক্তার একজন ভালো ছাত্রী। জ্যামিতি অঙ্কন করতে ভুল হওয়ায় তাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে হালকাভাবে পিটুনি দিয়েছি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি।’