যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সরকারি বরাদ্দের গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন। ওই ছবি ক্যামেরায় ধারণ করতে গিয়ে স্থানীয় পত্রিকার এক ফটোসাংবাদিক তাঁর রোষানলে পড়েন।
এস এম হাবিবুর রহমান চৌগাছা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গতকাল ছিল যশোরের চার উপজেলার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। এদিন চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী এস এম হাবিবুর রহমান তাঁর জন্য বরাদ্দ করা সরকারি গাড়ি নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রমে উপজেলা পরিষদের অফিস ও যানবাহন ব্যবহার করিতে পারিবেন না।’ অথচ হাবিবুর রহমান যে গাড়িটি নিয়ে নির্বাচনী কাজে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যান, সেটি উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ করা গাড়ি। প্রার্থীর বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি ক্যামেরাবন্দী করতে একজন আলোকচিত্রী সেখানে যান। এ সময় হাবিবুর রহমান ও তাঁর গানম্যান আলোকচিত্রীর দিকে তেড়ে যান।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রার্থী হাবিবুর রহমান নির্বাচনী কাজে যদি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন, তাহলে সেটি অবশ্যই নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের আওতায় পড়বে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা যে কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টি নির্বাচন তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হবে।’
হাবিবুর রহমানের সঙ্গে থাকা গানম্যান সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কি না, জানতে চাইলে যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, এস এম হাবিবুরের নিরাপত্তার জন্য সরকারিভাবে গানম্যান বরাদ্দ দেওয়া ছিল। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যশোরে মন্ত্রী ছাড়া কারও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গানম্যান দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য এস এম হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কেউ ফোন ধরেননি।