চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের জেলা নেতারা প্রার্থী নির্বাচনের জন্য একাধিক বৈঠক করলেও শেষ পর্যন্ত এলডিপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে সূত্রে জানা যায়। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার জানান, ‘দীর্ঘদিন লোহাগাড়ায় আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্ধারণ করা যায়নি। তৃণমূল নেতারা এটাকে রহস্যজনক মনে করছেন।’ তিনি ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ করেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ‘যেহেতু আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সুযোগ নেই, তাই জামায়াত প্রার্থীর বিজয় ঠেকাতে আমরা এলডিপি প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরীকে দল থেকে সমর্থন করেছি।’
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, স্থানীয় এলডিপি প্রার্থী হলেন আমাদের বিরোধী জোট। ওনাকে ভোট দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন জানান, ‘আমরা কিছু দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে কাকে সমর্থন করব তা জানিয়ে দেব।’
জানা যায়, লোহাগাড়ায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও সংরক্ষিত আসনে (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২ ফেব্রুয়ারি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোহাগাড়া ইউএনও মো. ফিজনূর রহমান ও নির্বাচন অফিসার আল মামুনের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
লোহাগাড়ায় চেয়ারম্যান পদে এলডিপি প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী, বিএনপি থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, জামায়াত থেকে ফরিদ উদ্দিন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক ও সাহাবউদ্দিন চৌধুরী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন শ্রীনিবাস দাশ, ছলিম উদ্দিন চৌধুরী, মামুনুর রশিদ ও নুরুল আবছার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদা ইয়াছমিন, পারভিন আক্তার ও গুলশান আরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিজনূর রহমান জানান, নির্ধারিত সময় তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।