বিস্ময়কন্যা রেশমা সুস্থ আছেন। তবে শরীরের দুর্বলতার কারণে তিনি একা হাঁটাচলা করতে পারছেন না। আজ সোমবার মেডিকেল বোর্ড আরেকবার রেশমার অবস্থা পর্যালোচনা করবে। এরপরই গণমাধ্যমের কর্মীদের তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।
রেশমার মা জোবেদা খাতুন মেয়ের সঙ্গেই আছেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী। তাঁকেও সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রেশমাকে সাভার সিএমএইচের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
সাভার সিএমএইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শরীফ আহমেদ গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রেশমার শরীরে কোনো আঘাত নেই। তিনি এখন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত। তাঁর মূল সমস্যা হচ্ছে, ১৭ দিন ধ্বংসস্তূপে থাকার কারণে সৃষ্ট মানসিক ও শারীরিক অবসাদ এবং ভয়। এগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
রেশমার চিকিৎসা সম্পর্কে শরীফ আহমেদ বলেন, লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রেশমার মুখের ত্বকে একটু সমস্যা দেখা গেছে। সে জন্য এক ধরনের ক্রিম ও অলিভওয়েল ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর কিডনিতে কিছুটা সমস্যা ছিল বলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। দুর্বলতার জন্য ভিটামিন খাওয়ানো হচ্ছে। সব ওষুধই মুখে খাওয়ানো হচ্ছে। তবে রেশমার শরীরের সব প্যারামিটারই এখন ভালো অবস্থায় আছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ও পরবর্তী সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়েছেন রেশমা। হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছে বলে বিছানাতেই সময় কাটছে তাঁর। হাঁটতে গেলে মাথা চক্কর দেয়। শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
রেশমাকে গতকাল সকালে ব্রেড, জেলি, বাটার ও ডিম খেতে দেওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে দেওয়া হয় বিস্কুট ও দুধ। দুপুরের খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল। দুপুরের খাবারের পর ফল খেতে দেওয়া হয়। রাতেও স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয় রেশমাকে।
গতকাল বিকেলে শীরফ আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, আজ মেডিকেল বোর্ড আরেক দফা রেশমার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে। মেডিকেল টিম চাইলে আজই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়ার হতে পারে তাকে।
রেশমার ভাই জাহিদুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গত সন্ধ্যায় আইসিইউতে রেশমাকে দেখতে যান। এ সময় তাঁকে খাবার দেওয়া হয়েছিল। রেশমা অল্প খাবার খেয়েছেন। শরীরে শক্তি নেই বলে রেশমা তাঁকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া হাতেও ব্যথা আছে।