চাঁদপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা, ৩০০ যাত্রীর খাবার দিলেন এলাকাবাসী
চাঁদপুরে শাহতলী স্টেশনের কাছে গতকাল বুধবার ভোরে যাত্রীবাহী আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। পরে রাত আটটায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই দীর্ঘ সময়ে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলেও কয়েকজন এলাকাবাসী যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। এতে অনেকটাই স্বস্তি পান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা অভিযোগ করেন, প্রায় ১৫ ঘণ্টা আটকে থাকলেও সরকারিভাবে কেউ কোনো খাবার বা পানি সরবরাহ করেনি। তবে ট্রেনের গার্ড (পরিচালক) পি কে চৌধুরী ও ট্রেনচালক এ কে মিয়াজী জানান, শাহতলীর দেলোয়ার মিজিসহ কয়েকজনে মিলে ওই ট্রেনের অনাহারে থাকা প্রায় ৩০০ যাত্রীর দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন। এতে যাত্রীরা অনেকটাই স্বস্তি ফিরে পান।
ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবরে চাঁদপুর থেকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা নিরাপত্তা দিলেও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত বা খাবার সরবরাহে কোনো সহযোগিতা করেননি বলে ভুক্তভোগী যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী লাকী বেগম জানান, তিনি তাঁর মায়ের অসুস্থতার খবরে অবরোধের মধ্যেই ট্রেনে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের কুরিয়ান গার্মেন্টসের শ্রমিক রুবি আক্তার জানান, অবরোধের কারণে এক সপ্তাহ ধরে তিনি চট্টগ্রাম যেতে পারছিলেন না। তবে চাকরি হারানোর ভয়ে বরিশাল থেকে লঞ্চে এসে ট্রেনে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
পি কে চৌধুরী জানান, ভোর পাঁচটার দিকে চাঁদপুর থেকে ট্রেনটি ছাড়া হয়। তবে স্টেশনমাস্টারের নির্দেশে মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেনটি চালিয়ে আসেন চালক। এ কারণে বড় ধরনের প্রানহানির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে মেঘনা এক্সপ্রেস।