ঘাটের জায়গায় দোকান মানুষের ভোগান্তি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুমার নদের ঘাটের রাস্তার জায়গায় পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের একজন কর্মী। ইতিমধ্যে দোকানের স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এতে এলাকার মানুষ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রিংকু মণ্ডল নামের ছাত্রলীগের ওই কর্মী জানান, জেলা পরিষদ থেকে এক বছরের ইজারা নিয়ে তিনি দোকানঘর নির্মাণ করছেন। অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ব্যবহারের সুবিধার্থে ঘাটের জায়গার ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়ে জেলা পরিষদে আবেদন করেছেন। কিন্তু জেলা পরিষদ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে রিংকুর কোনো পদ নেই। তবে তিনি সক্রিয় কর্মী। ঘাটে রিংকুর দোকান নির্মাণের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা নেই।’
ফাজেলপুর গ্রামের বাসিন্দা খয়বার আলী জানান, তাঁদের গ্রামে কোনো পুকুর বা জলাশয় নেই। গ্রামের মানুষ সব প্রয়োজনেই নদ ব্যবহার করে থাকেন। ৩০-৪০ বছর ধরে ওই জায়গা দিয়েই মানুষ নদে চলাচল করছেন। তবে মষে ঘাট নামে পরিচিত ওই জায়গায় দোকানঘর নির্মিত হলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়বেন।
খয়বার আলী আরও জানান, ইজারা বাতিলের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা জেলা পরিষদে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু জেলা পরিষদ এ ব্যাপারে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মৈনুর ঘাটের জায়গা ইজারা দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জেলা পরিষদের সব জায়গার খাজনা দিতে হয়। ফলে জায়গা ফেলে না রেখে ইজারা দিয়ে কিছু আয় হলে সরকার লাভবান হবে। তবে কোনোভাবেই ঘাটের পথ বন্ধ করা যাবে না। ইজারা বাতিলের আবেদন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।