গৃহকর্মী সুমির জামিন হয়নি
গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন ওরফে সুমির (১১) জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। গত রোববার রুদ্ধদ্বার কক্ষে (ক্যামেরা ট্রায়াল) শুনানি শেষে সুমিকে কোনাবাড়ী কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রেই রাখার নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত।
সুমি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের বাসায় কাজ করত।
গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের ভাড়া বাসা থেকে এই দম্পতির ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। মাহফুজ-স্বপ্না দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমানের বিরুদ্ধে বাবা-মাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ঐশী পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তখন গৃহকর্মী সুমিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গত ২৪ আগস্ট সুমিকে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরে ঐশী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাতে তিনি গৃহকর্মী সুমির বিরুদ্ধে কিছু বলেননি।
দরিদ্র এই গৃহকর্মীর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং রাজধানী মানবাধিকার সংস্থা আদালতে আবেদন করে।
এর মধ্যে রাজধানী মানবাধিকার সংস্থা সুমির জামিন, বিএনডব্লিউএলএ সুমিকে তাদের নিজেদের জিম্মায় নেওয়া এবং আসক সুমিকে তাদের বা সুমির মায়ের জিম্মায় দেওয়ার জন্য আবেদন করে। জামিন শুনানিতে এই তিন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার শওকত আলী হায়দার ও সিদ্দিকুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। সুমির মা ছালেহা, তার সৎবাবা ও ছোট ভাই ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আসকের তত্ত্বাবধানে আছেন।