গাইবান্ধার সিভিল সার্জন আহাদ আলীর বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর পথ্য সরবরাহের দরপত্রে ঘাপলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পলাশবাড়ী জ্যেষ্ঠ জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে দরপত্র বাতিল হওয়া এক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়ার পাঁয়তারা করায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পথ্য সরবরাহে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে গত ২২ আগস্ট পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পথ্য সরবরাহের জন্য ১৬টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে নয়টি। ১৪ দিন পর গত ৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র খোলা হয়। এর মধ্যে যোগ্যতা না থাকায় পাঁচটি দরপত্র বাতিল করা হয়। যোগ্য বিবেচিত চারটি দরপত্রের মধ্যে পলাশবাড়ীর রাকিব ট্রেডার্স নিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় নিম্ন দরদাতা হিসেবে শাহারুল ইসলাম, তৃতীয় নিম্ন দরদাতা ইসরাফিল চৌধুরী এবং চতুর্থ নিম্ন দরদাতা মাজেদ ট্রেডার্স বিবেচিত হয়।
পরে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রাকিব ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পর সিভিল সার্জন গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাকিব ট্রেডার্সকে জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য পত্র দেন। রাকিব ট্রেডার্সের মালিক আবদুর রউফ প্রধান অভিযোগ করে বলেন, ‘পত্র পেয়ে আমি গত ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দিই। কিন্তু সিভিল সার্জন তাঁর কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক নুরুল আমীনের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির রেজুলেশন কাটাকাটি ও ঘষামাজা করেন। পরে বাতিল হওয়া পাঁচ দরপত্রের মধ্যে ফজলে রাব্বীর দরপত্রটি সঠিক আছে মর্মে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং তাঁকে কার্যাদেশ দেওয়ার পাঁয়তারা করেন।’
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহজাহান সরকার, সদস্য উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিহাব উদ্দীন ও আরএমও শাহিনুল ইসলাম যৌথভাবে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। শাহিনুল বলেন, ‘আইনি জটিলতা এড়াতে এবং আমাদের কৃত কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে জিডি করেছি।’ তবে আহাদ আলী উৎকোচের বিনিময়ে রেজুলেশন কাটাকাটি ও ঘষামাজা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।