কোলের শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
কোলের শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক মা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের রেলক্রসিংয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মায়ের নাম শামীমা আক্তার ওরফে কাকলী (২৪), শিশুর নাম নাওমী (১৯ মাস)।
শামীমার স্বামী মুনসুর আলী। তিন বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। নাওমী তাঁদের একমাত্র সন্তান। তাঁদের বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায়। তাঁরা রাজশাহী নগরের ভদ্রা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মুনসুর সিঙ্গার কোম্পানির রাজশাহী সাহেব বাজার শাখার বিক্রয় সহকারী।
রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা একটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় শামীমা বোরকা পরে বাচ্চা কোলে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ট্রেন কাছাকাছি এলে তিনি সামনে ঝাঁপ দেন। এতে শামীমা সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহতাবস্থায় নাওমীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সেও মারা যায়।
নিহতের স্বামীর বরাত দিয়ে রাজশাহী জিআরপি থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, তাঁর স্ত্রী অত্যন্ত বদমেজাজি ছিলেন। গতকাল সকালে একসঙ্গে নাশতা করে তিনি বাড়ি থেকে দোকানে চলে যান।
বাগমারায় টিঅ্যান্ডটি কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের এক কর্মকর্তাকে গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী পিটিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাগমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আহত কর্মকর্তা মকলেছুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে টেলিফোন মেকানিক্যাল টেকনিশিয়ান মকলেছুর রহমান বাগমারা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ দপ্তরের দোতলায় বসে কাজ করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই দপ্তরের লাইনম্যান জামাল উদ্দিন তাঁকে নিচে ডেকে নিয়ে আসেন। এ সময় চার-পাঁচজন লোক তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় বাগমারা থানায় জিডি করা হয়েছে।
মকলেছুর রহমান অভিযোগ করেন, দাপ্তরিক কিছু বিষয় নিয়ে লাইনম্যান জামাল উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে তিনি ও তাঁর ভাড়াটে লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জামাল উদ্দিনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।